আসিফ আকবর (ইংরেজি : Asif Akbar) বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় পপ-ধাঁচের সঙ্গীত শিল্পী। তিনি তার সুরেলা কন্ঠের জন্য দেশ বিদেশে বিশেষভাবে সুপরিচিত। তিনি ২০০১ সালে প্রকাশিত তার প্রথম সঙ্গীত এ্যালবাম 'ও প্রিয়া তুমি কোথায়'-এর মাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা লাভ করেন। চলচ্চিত্রে তার গাওয়া প্রথম গান 'আমারই ভাগ্যে তোমারই নাম' (চলচ্চিত্র: রাজা নাম্বার ওয়ান, মুক্তি প্রাপ্ত: ১৯৯৭ সাল)।
| জন্ম | আসিফ আকবর মার্চ ২৫, ১৯৭২ কুমিল্লা |
|---|---|
| জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
| পেশা | সঙ্গীত শিল্পী |
| কার্যকাল | ২০০১–বর্তমান |
| যে জন্য পরিচিত | সঙ্গীত শিল্পী |
| ধর্ম | ইসলাম |
| দম্পতি | সালমা আসিফ মিতু |
| পিতা-মাতা | আলী আকবর রোকেয়া আকবর |
| পুরস্কার | জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার (২ বার) মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (৬ বার) |
জীবনী
আসিফ বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তিনি সালমা আসিফ মিতুকে বিবাহ করেন। তাদের রণ এবং রুদ্র নামে দুটি সন্তান রয়েছে। ৯২ সালে বিয়ের সময় তাঁর বয়স ছিলো উনিশ বছর তিন মাস,কাজী সাহেব দেখিয়েছিলেন ২৫ বছর। বড় তিন ভাইকে টপকে বিয়ে করে ফেলেছিলেন। পড়তেন অনার্স ফার্ষ্ট ইয়ার ভিষ্টোরিয়া কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে। খুব একটা ইনকাম না থাকলেও বাবার হোটেলে খারাপ ছিলেন না। তাইরে নাইরে করতে করতে সময় পার হত, ৯৬ সালে রণ (তাঁর বড় ছেলে) এর জন্ম। তারপর একটু সিরিয়াস হলেন আয় রোজগারের ব্যাপারে। তাঁর বউ করতেন শিক্ষকতা । তাঁর আব্বা আম্মা ফুল সার্পোট দিয়েছিলেন। সেশন জটের খপ্পরে পড়ে ৯৭ সালে অনার্স ফাইনাল দিলেন। এর মধ্যে আবার “ ফিকল বয়েজ” নামে একটি ব্যান্ড করলেন। মোটামুটি প্রশংসা ছিলো তাদের। অনার্স ফাইনাল দেয়ার পরপরই তাঁর বন্ধু গীটারীষ্ট জুয়েল ঢাকা চলে এলো ক্যারিয়ার গড়তে। তাকে দেখতে তিনিও চলে এলেন এপ্রিলে। একদিনের জায়গায় থেকে গেলেন পনেরো দিন। ৯৩,৯৪,৯৫ সালে বারোয়ারী ব্যবসা করে কোন রকমে সারভাইভ করেছিলেন। বাসা থেকে চল্লিশ হাজার টাকার একটা ফান্ড দেয়া হয়েছিল। ঐ টাকা নাড়া চাড়া করতে করতেই ২০০০ সাল পর্যন্ত টিকে ছিলেন। ঢাকায় সংগ্রামরত উজ্জল সিনহা, কুমার এন্থনী ভুলু’দা, জুয়েল এবং তিনি একটা বাসা ভাড়া নিলেন রামপুরা ওয়াপদা রোডে। ১১৮/১ বাসাটিতে তারা মেস সিষ্টেমে থাকতেন। সিনিয়র গীটারিষ্ট পিন্টু ভাই আশ্বাস দিলেন তাঁকে দিয়ে গান বাজনা হবে। উনাকে বললেন, "দেখেন ভাই দুই বছরের মধ্যে যদি রেজাল্ট না আসে তাহলে কিন্তু চা’বাগানের চাকরীতে চলে যেতে হবে, ফ্যামিলি প্রেশার আছে।" ঢাকায় থিতু হতে চেষ্টার কোন ত্রুটি তিনি করেননি। ৯৭ এর অক্টোবরে বউবাচ্চা নিয়ে ঢাকা চলে এলেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
২০০১ থেকে ২০০৬ পর পর ৬ বছর অ্যালবাম বিক্রির দিক থেকে শীর্ষে ছিলেন আসিফ। তার প্রথম এলবাম ৫.৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল। যা অডিও ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

No comments:
Post a Comment